ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লেখার গাইডলাইন
ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লেখার গাইডলাইন
তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে মানুষ ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে নিজের ব্লগে আর্টিকেল লেখে অথবা নির্ধারিত বেতনে অন্যের আর্টিকেল লেখে আয় করে থাকেন। আর্টিকেল লেখার উদ্দেশ্য হলো পাঠক-কে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে স্বচ্ছ আইডিয়া প্রদান করা, সে বিষয়ে আর্টিকেল পড়ে যাতে পাঠক বা ভিজিটর শতভাগ জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
আপনার লেখা পাঠকের নিকট আকর্ষণীয় ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য একজন আর্টিকেল রাইটারকে SEO ফ্রেন্ডলি লেখার বিষয়ে গাইডলাইন সর্বদা অনুসরন করতে হবে।
পেজ সূচীপত্রঃ ব্লগে বাংলা আর্টিকেল লেখার গাইডলাইন
- আর্টিকেলের শিরোনাম নির্বাচন
- শুরুতে ভূমিকা বাটনের ব্যবহার
- আর্টিকেলের প্রথম অংশে ভূমিকা লেখা
- ফিচার ইমেজের ব্যবহার
- ফিচার ইমেজের পরে ভূমিকার বাকি অংশ লেখা
- আর্টিকেলের সূচীপত্র লেখার নিয়ম
- প্যারাগ্রাফ লেখার শিরোনাম/হেডিং/সাব-হেডিং ব্যবহারের নিয়ম
- আটিকেলে আরও পড়ুন সেকশনের ব্যবহারের নিয়ম
- আটিকেলে কিছু সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর দেওয়ার নিয়ম
- লেখকের শেষ কথা বা উপসংহার
আর্টিকেলের শিরোনাম নির্বাচন
আপনি যে আর্টিকেল লিখবেন, সে আর্টিকেলের শিরোনাম পাঠকের নিকট এমনভাবে উপস্থাপন
করবেন, যাতে পাঠক বা ভিজিটর শিরোনাম পড়েই আপনার আর্টিকেলের সারবস্তু সম্পর্কে
পুরোপুরি ধারণা পেতে পারেন। শিরোনাম লেখার কিছু নিয়ম নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ
- শিরোনাম মোটামুটি ৫ হতে ১০ শব্দের মধ্যে হওয়া উচিৎ।
- শিরোনামের মধ্যে ১ বা ২ টি ফোকাস কিওয়ার্ড থাকা উচিৎ।
- শিরোনামে স্পেশাল ক্যারেকটার (যেমন: ?, !, ব্যতিত) ব্যবহার করা যাবে না।
- ২ শব্দের ফোকাস কিওয়ার্ড হলে এর মাঝখানে হাইফেন (-) ব্যবহার করতে হবে।
শুরুতে ভূমিকা বাটনের ব্যবহার
আপনার ব্লগের প্রাসঙ্গিক অন্য বিষয়ে পাঠকে আকৃষ্ট করার জন্য ভূমিকা বাটন
ব্যবহার করা উচিৎ। পাঠক ভুমিকা বাটনে ক্লিক করে প্রাসঙ্গিক অন্য আর্টিকেলে সহজে
যেতে পারবেন। ভূমিকা বাটন ব্যবহার করার কিছু নিয়ম নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ
- ভূমিকা বাটনে প্রাসঙ্গিক অন্য বিষয়ের আর্টিকেলের লিংক করতে হবে।
- ভূমিকা বাটন ৫-৬ শব্দের মধ্যে হতে হবে।
- ভূমিকা বাটন এবং আরও পড়ুন সেকশনে একই বিষয়ের আর্টিকেলের লিংক দেওয়া যাবে না।
আর্টিকেলের প্রথম অংশে ভূমিকা লেখা
একটি আর্টিকেলের জন্য ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেজন্য আপনার
পুরো আর্টিকেল জুড়ে কোন কোন বিষয় থাকবে বা পাঠক-কে কোন কোন বিষয়ে অবগত করতে
চান, ভূমিকার প্রথম অংশে সে সব বিষয় নিয়ে সংক্ষেপে ৪-৫ লাইনের মধ্যে আলোকপাত
করতে হবে। ভূমিকার প্রথম অংশে ২ থেকে ৩ বার আপনার আর্টিকেলের ফোকাস কিওয়ার্ড
থাকতে হবে। প্রতিটি আলাদা আর্টিকেলের জন্য আপনাকে আলাদা আলাদাভাবে ভূমিকা লেখতে
হবে। আপনার লেখার ভূমিকা অংশ আকর্ষনীয় হলে পাঠক পরবর্তী অংশ পড়তে আগ্রহী হবে।
ফিচার ইমেজের ব্যবহার
আপনার আর্টিকেলের প্রথম অংশের ভূমিকা লেখার পরে ফিচার ইমেজের ব্যবহার দেখাতে
হবে। ফিচার ইমেজের ব্যবহার করা হলে আপনার আর্টিকেলে পাঠকের মনোযোগ ধরে
রাখতে সহায়তা করবে। আর্টিকেলে ফিচার ইমেজ সেন্টার এ্যালাইমেন্ট বরাবর রাখতে
হবে। ফিচার ইমেজ তৈরী করার জন্য গুগলে ফ্রি ইমেজের উপর গ্রাফিকস এর
সাহায্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট লেখা বসাতে পারেন।
ফিচার ইমেজের পরে ভূমিকার বাকি অংশ লেখা
আপনার লেখার ভূমিকার প্রথম প্যারার কয়েকটি লাইন লেখা হয়ে যাওয়ার পর
অবশিষ্ট অংশ ফিচার ইমেজের শেষে লেখতে হবে।
আর্টিকেলে সূচীপত্র লেখার নিয়ম
আর্টিকেলের সূচীপত্র এমনভাবে সাজাতে হবে, যাতে পাঠক সূচীপত্র দেখেই সহজে
বুঝতে পারেন আর্টিকেলের বিষয়বস্তু কি। কাংখিত বিষয়ে তথ্য জানার জন্য সূচিপত্রে
লিংক করা অংশের উপর ক্লিক করা হলে সূচিপত্রের ঐ বিষয়ের পেজে আপনাকে
নিয়ে যাবে, সেখানে আপনি পড়তে পারেবেন।সূচীপত্র লেখার কিছু নিয়ম নিম্নে প্রদত্ত
হলোঃ
- আর্টিকেলের সূচীপত্রের অধীনে প্রতিটি হেডিং/সাব-হেডিং/সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে।
- প্রতিটি হেডিং/সাব-হেডিং/সাব-ফোকাস কিওয়ার্ড বুলেট/নাম্বার লিস্ট আকারে সাজাতে হবে।
লেখার শিরোনাম/হেডিং/সাব-হেডিং ব্যবহারের নিয়ম
আপনার আর্টিকেলের লেখা প্যারা আকারে থাকবে। প্রতিটি প্যারা ৪-৫ লাইনের মধ্যে
হবে। যদি আপনার বেশি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে বিষয়বস্তুকে ৪-৫
লাইনবিশিষ্ট কয়েকটা প্যারায় লিখতে পারেন। প্রতিটি প্যারার মাঝখানে কি- বোর্ড
থেকে পর পর ২ টি ইন্টার দিয়ে স্পেস রাখতে হবে।
আর্টিকেলে আরও পড়ুন সেকশনের ব্যবহারের নিয়ম
আপনি যে বিষয়বস্তুর উপর আর্টিকেল লিখেছেন, সেই বিষয়বস্তুর উপর মিল রেখে আরও
পড়ুন সেকশনে অন্য আর্টিকেল লিংক করা থাকলে পাঠক সহজে সেখানে যেতে পারবেন এবং
পড়তে পারবেন। এতে আপনার বেশি বেশি ট্রাফিক জেনারেট হবে। আরও পড়ুন সেকশন
আটিকেলের নিচের দিকে থাকবে। দুই প্যারার মাঝখানে রাখতে হবে। আপনার লেখা পুরো
আর্টিকেলের মাঝখানে কয়েকবার আরও পড়ুন সেকশন রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ
BRTA ড্রাইভিং লাইসেন্স।
আর্টিকেলে কিছু সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর দেওয়ার নিয়ম
পাঠক যখন আপনার আর্টিকেল পড়বেন, ঠিক তখন তাঁর মনে কিছু প্রশ্ন আসাটা
স্বাভাবিক। কাজেই আর্টিকেল লেখার সময়কালে আপনাকে পাঠকের মনের প্রশ্ন উপলদ্ধি
করতে হবে। সে আলোকে আপনার আর্টিকেলের মধ্যে কিছু সাধারণ প্রশ্ন-উত্তর সংযোজিত
থাকতে হবে। পাঠকের কিছু নমুনা প্রশ্ন-উত্তর নিচে দেওয়া হলোঃ
আর্টিকেল বলতে কি বুঝায়?
আর্টিকেল হলো এমন একটি লেখা যা পাঠককে নির্ধারিত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান
করে এবং পাঠকের জানার পরিধি সমৃদ্ধ করে। আর্টিকেল তথ্যভিত্তিক, মতামতভিত্তিক
এবং বিশ্লেষণধর্মী হতে পারে।
আর্টিকেল লেখাতে কেন ফিচার ইমেজ ব্যবহার করা জুরুরি?
ফিচার ইমেজ আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সহজে পাঠকের নিকট ধারণা দিতে সহায়ক ভূমিকা
পালন করে। ভালো মানের ও প্রাসঙ্গিক ফিচার ইমেজ পাঠককে আপনার আর্টিকেল পড়াতে
অনেকটা মনোযোগী করবে।
আপনি কিভাবে ফোকাস কিওয়ার্ড বাছাই করবেন?
আপনি সবসময় ট্রেন্ডিং বিষয়বস্তু জানার জন্য সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে আপনার
কাংখিত কিওয়ার্ড বাছাই করতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথা বা উপসংহার
উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম কিভাবে একটা আর্টিকেল লেখা যায়। আপনি
উপরোক্ত আর্টিকেল লেখার গাইডলাইন অনুশীলনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে দক্ষ রাইটার হতে
পারবেন। এতে আপনার লেখনীর মাধ্যমে পাঠকগন উপকৃত হতে পারবেন। পাঠকের মাঝে
ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য আপনি আপনার লেখনী চলমান রাখবেন। আমার পরবর্তী আর্টিকেল
পড়ার/দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে এবং সকলের কল্যান কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ
করছি, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url